সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে সাময়িকভাবে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়নি জানিয়ে সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। খবর বাংলানিউজ২৪ডটকমের।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে র্যাবের একটি দল হাজী সেলিমের ছেলেকে গ্রেফতার করতে তার বাসা চাঁন সরদার দাদার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা তল্লাশি শেষে তাদের র্যাব হেফাজতে নেওয়ার কথা জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
এর আগে সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই গাড়িচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলবো’। এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিল-ঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।