নিজস্ব প্রতিবেদক:- মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় যৌতুকের দাবিতে হামলা- ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে । ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের টাট্রিউলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।
কর্মধা ইউনিয়নের বুধপাশা গ্রামের আবু সাঈদ (৩২) ২০০২ সালে একই ইউনিয়নের টাট্রিউলি গ্রামের আঃ মন্নানের মেয়ে সোনারুন বেগমকে (২৫) বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নেন।
সোনারুন বেগম এখন তিন সন্তানের জননী । আবু সাঈদ বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে নিজের স্ত্রী সোনারুন বেগমকে পারিবারিক ভাবে নির্যাতন করে আসছেন। এলাকায় একাধিকবার সালিশে আবু সাঈদের বিচার হলেও নিজ স্ত্রীকে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দেওয়া বন্ধ করেননি ।
স্ত্রীর দাবি বিভিন্ন সময়ে পারিবারিক ভাবে নির্যাতন করে আসছেন আবু সাঈদ। ছেলেমেয়েদের ভরণপোষণের সামগ্রী প্রায় সময়ই নিজের ভাইদের নিকট থেকে নিতে হয়। এ নিয়ে প্রায়শই স্ত্রীর সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব-কলহ করতেন আবু সাঈদ।
২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) আশ্রয় নেওয়া শ্বশুরবাড়িতে যৌতুকের দাবিতে ভাঙচুর ও হামলা চালান আবু সাঈদ। এ সময় ঘরে হামলা করে বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। ব্যবহৃত কাপড় ও বিছানাপত্রে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দেন।
ঘরের বেড়ায় হামলার চিত্র
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলার সময় আশপাশে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসময় আবু সাঈদের তাণ্ডবে ঘরের মালামাল রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি।
সোনারুন বেগম জানান, হামলায় এখন তিনি ভীতিকর পরিস্থিতিতে দিনযাপন করছেন। নিজের চার বছরের মেয়ে সুমাইয়া ভয় পেয়ে আতঙ্কে ঘর থেকে বের হতে চায় না। হামলার ঘটনা স্বচক্ষে দেখে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে । আবু সাঈদ শ্বশুর বাড়িতে জমি এবং ২ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রতিনিয়ত চাকু নিয়ে হত্যার হুমকি দিত।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আবু সাঈদ জানান, স্ত্রীকে ঘরে না পেয়ে হামলা ভাঙচুর করেছি। আমাকে শ্বশুর বাড়িতে জায়গা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা আমাকে জায়গা দিচ্ছে না।
এ ঘটনায় সোনারুন বেগম বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন।
হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত করে কুলাউড়া থানার এএসআই মোঃআসাদ আলী জানান , ঘরে হামলা -ভাঙচুর করেছে আবু সাঈদ। এ ঘটনায় স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।